Ø বইয়ের নাম: বিন্দুবিসর্গ
Ø লেখক: দেবতোষ দাশ
Ø প্রকাশক: পত্র ভারতী
Ø প্রকাশকাল: জানুয়ারি ২০১৭
Ø পৃষ্ঠাসংখ্যা: ৩৩৬, হার্ডকভার
Ø মূল্য: ৩৭৫/- টাকা
আচ্ছা বলুন তো, ‘বিন্দু’ মানে
কী?
সাধারণত
আমরা এই শব্দটিকে দু’রকম অর্থে ব্যবহার করে থাকি। প্রথমত, জলকণা বা ফোঁটা, বা সেই পরিমাণ স্থান অধিকার করে এমন অত্যল্প পরিমাণ
বোঝাতে। দ্বিতীয়ত, জ্যামিতিতে স্থূলত্বদীর্ঘত্বহীন পদার্থ তথা পয়েন্ট বোঝাতে।
বাংলায়
অভিধান তথা সুসংহত শব্দভাণ্ডার নির্মাণকে যদি মর্তে গঙ্গা আনয়নের সঙ্গে তুলনা করা
যায়, তাহলে ভগীরথ হলেন শ্রী হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মহাগ্রন্থ “বঙ্গীয়
শব্দকোষ” খুলে কিন্তু দেখতে পাচ্ছি, ‘বিন্দু’ শব্দের শুধু বিশেষ্য রূপেরই আছে ১৭টি
অর্থ তথা ব্যবহার, যার মধ্যে “ভ্রূদ্বয়ের মধ্য”, “মহাদেব”, এমনকি “নায়িকার ওষ্ঠে
নায়ককৃত দন্তক্ষতবিশেষ”-ও আছে!
এবার
দয়া করে বলুন, ‘বিসর্গ’ মানে কী?
আপনার
কথা বলতে পারছিনা, তবে আমি ‘বিন্দুবিসর্গ’ নামক লব্জের বাইরে, আলাদা করে, এই
শব্দটা ব্যবহার করিই না। “বঙ্গীয় শব্দকোষ”-এর পাতা উলটে দেখছি, এটিরও রয়েছে নানা
অর্থ ও প্রয়োগ, যার মধ্যে আছে “অস্ত্রপ্রয়োগ”, “ত্যাগ”, “সৃষ্টি”, এবং
“দক্ষিণায়ন”!
অথচ,
‘বিন্দুবিসর্গ’ শব্দের কিন্তু মাত্র একটাই মানে: অণুমাত্র।
কেন?
আবার
সেই “বঙ্গীয় শব্দকোষ” খুলেই দেখছি, বাংলা বর্ণমালায় বিসর্গের ঠিক আগে অবস্থিত
‘অনুস্বার’ ব্যঞ্জনবর্ণ হলেও ‘অ’-কারের মতো হ্রস্ব, এবং তাকে ‘বিন্দুরূপ’ বা
‘বিন্দুরেখারূপ’-এ প্রকাশ করা হয়। সেজন্যই কি, ‘বিন্দুবিসর্গ’ মানে যৎসামান্য?
আর
তাহলে, একটু আগে লেখা দুটো শব্দ পাশাপাশি বসতে গিয়েই তাদের অর্থের বৈচিত্র্য
বিসর্জন দিল কেন?
মহাজনেরা
বলেছেন ভাবা প্র্যাকটিস করতে। যথারীতি আমরা, আর পাঁচটা হিতোপদেশের মতো, এটাকেও
পাত্তা দিইনি। কিন্তু ভাবতে গেলে, বিশেষ করে আমাদের রোজকার ব্যবহারের এই দুঃখিনী
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার নিয়ে কিঞ্চিৎ মাথা ঘামালে চমকে উঠতে হয়।
এই
নিয়ে পত্রিকায় প্রবন্ধ হলে সেটা আমাদের নজর এড়িয়ে যাবে।
এই
নিয়ে ভেবে কলিম খান ও রবি চক্রবর্তীর মতো গবেষক নিজের জীবনের দশকের পর দশক ব্যয়
করলেও আমরা তাকে উপেক্ষাই করব, কারণ আমরা তাঁদের দিকেই তাকাই যাঁরা প্রথাগত অর্থে
‘সফল’।
যদি
না…
তাঁদের
ভাবনাকে কেন্দ্রে রেখে তৈরি হয় এক প্রবল ঘূর্ণিঝড়।
আলোচ্য
উপন্যাসটি আসলে বাংলা ভাষার হাত ধরে ভারতের ইতিহাস, পুরাণ, ধর্ম, সমাজ, এবং
বর্তমান ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ রাজনীতিকে এক নতুন চোখে দেখার চেষ্টা।
কিন্তু
ঠিক যে কারণে আপনি এনসাইক্লোপিডিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের আকর জেনেও নিতান্ত
প্রয়োজন না হলে পড়েন না, সেই একই কারণে এই ‘বিকল্প’ দৃষ্টিপাতের অস্তিত্ব
অনেক-অনেক দিন ধরে থাকলেও আমরা তা জানতে চেষ্টাও করিনি।
হয়তো
সেজন্যই, কপিল মুনির আশ্রমে ছাই হয়ে পড়ে থাকা সগর রাজার ছেলেদের অভিশপ্ত ভস্মাবশেষের
সঙ্গে তুলনীয় সেই অদ্বিতীয় কাজের ওপর পাঠকের আগ্রহের গঙ্গাকে বইয়ে দেওয়ার জন্য কলম
ধরলেন এই সময়ের অন্যতম কুশলী নাট্যকার ও গদ্যশিল্পী, দেবতোষ দাশ। আর আমরাও পেলাম
সৌজন্য চক্রবর্তীর দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে সমৃদ্ধ সুমুদ্রিত একটি হার্ডকভার, যা নিয়ে
এই লেখা।
কিন্তু
উপন্যাস লিখলেই তো আর পাঠকের আনুকূল্য পাওয়া যায়না। তাই দেবতোষ তাঁর কাহিনি
নির্মাণ করলেন বাংলা সাহিত্যের নিরিখে এক অভিনব আঙ্গিকে। তিনি গল্পটিকে সাজালেন রহস্যকাহিনির
কাঠামোয়, যেখানে গল্প শুরু হচ্ছে মাঝরাতে নিজের অফিসে এক গুণী, জ্ঞানী, ব্যতিক্রমী
মিডিয়া ব্যারনের খুন হওয়া দিয়ে।
“ভোরের
কাগজ” পত্রিকার সম্পাদক বিল্বদল বা বিলু চট্টোপাধ্যায়ের খুনের তদন্ত করতে গিয়ে
কলকাতা পুলিশ এমন কিছু হেঁয়ালি বা ধাঁধার মতো সূত্র পায়, প্রথাগত ভাবে যাদের
সমাধান করা অসম্ভব না হলেও সময়সাপেক্ষ। অতঃপর, মঞ্চে প্রবেশ আউট-অফ-দ্য-বক্স
চিন্তায় সিদ্ধহস্ত ধরণী কয়াল, অর্থাৎ ডিকে-র।
ইতিমধ্যে
খুনি, যে নিজের পরিচয় দিয়েছে ‘অদ্বৈত’ নামে, কিন্তু বসে নেই। নিজের প্রজ্ঞা, মেধা,
মনন, ও ক্ষিপ্রতা কাজে লাগিয়ে সেও পুলিশের থেকে এক কদম এগিয়ে থেকে তার পরবর্তী
শিকারের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির অন্যতম আস্থাভাজন সহায়িকা নিবেদিতাও
কিন্তু নিশ্চেষ্ট হয়ে না থেকে খুনির পরবর্তী শিকার, গবেষক কবীর খানকে সঙ্গে নিয়ে
ফেরার হয়েছে।
কিন্তু
কেন এই খুন?
কে
এই কবীর খান?
আর,
তাঁকে বাঁচানোর জন্য নিজের প্রাণ বিপন্ন করে পুলিশ আর খুনির সঙ্গে কেন লুকোচুরি
খেলছে নিবেদিতা?
এখানেই
এই উপন্যাস ড্যান ব্রাউনীয় কন্সপির্যাসি থিওরি এবং প্রযুক্তি-সর্বস্ব কাঠামোর
থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এক পথে এগিয়েছে, যা আপাতভাবে থ্রিলার বা রহস্যকাহিনির ‘নিয়ম’
মেনে চলেনা, কিন্তু এই উপন্যাসে সমাজ ও ভাষা নির্মাণের যে কুটিল ও বন্ধুর চিত্র
ফুটে উঠেছে তার সঙ্গে যার চলন আশ্চর্যরকম সাযুজ্যসম্পন্ন।
আগে
লিখি কেন এই থ্রিলার আর পাঁচটা ফর্মুলাইক রহস্য উপন্যাসের চেয়ে আলাদা।
প্রথমত,
এতে মাত্র একটিই খুন হয়েছে।
দ্বিতীয়ত,
এখানে কিছু চেজ, কিছু সাসপেন্স-পূর্ণ মুহূর্ত, এবং একটি প্রক্ষিপ্ত মারামারি বা
টানাহেঁচড়ার দৃশ্য ছাড়া কোনো অ্যাকশন নেই। প্রায় পুরো উপন্যাস জুড়েই রয়েছে প্রচুর
মুখে-বলা বা ম্যাগাজিনে ছাপা কথা, যা চরিত্রদের মুখে বা মনে এসেছে আমাদের
সুবিধার্থে, এবং যাদের পটভূমি হয়েছে এসি চেম্বার, ফোন, ট্যাক্সি, ট্রেনের কামরা,
হোটেলের ডাইনিং টেবল।
তৃতীয়ত,
দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন হয়নি এখানে। সমকালীন রাজনীতি আমাদের সমাজের দেহে যে
দগদগে ক্ষতস্থানগুলো লালন করে চলেছে, সেগুলোর কোনো ম্যাজিকাল বা ফাইনাল সলিউশনও
দেওয়া হয়নি এই উপন্যাসে।
তাহলে
একে থ্রিলার বলা চলে কি?
বৃক্ষের
নাম যেমন ফল থেকে বোঝা যায়, তেমনই থ্রিলারের গুণাগুণ বোঝা যায় মাত্র একটি
মাপকাঠিতেই: উপন্যাসটা পড়তে গিয়ে
আনপুটডাউনেবল লেগেছে কি না। সেই বিচারে, কেমন লাগল বইটা?
সারাদিন
অফিস আর সাইট ভিজিট করে যখন নিংড়ানো গামছার সঙ্গে সহমর্মিত্ব অনুভব করছি, তখন এই
বইটা হাতে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, কয়েক পাতা উলটে দেখে নেব বইটা কেমন লাগছে, তারপর না
হয় ধীরেসুস্থে পড়তে বসা যাবে। রাত দুটো নাগাদ লাল চোখে লাইট নেভাতে হল, কারণ পরদিন
সকালে প্লেনে চড়ার ব্যাপার ছিল। ভোরবেলা সিকিউরিটি চেক হয়ে যাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে
আবার বইটা বেরোল ব্যাগ থেকে, এবং আশেপাশে কী হচ্ছে তার বিন্দুবিসর্গ না দেখে আমি
আবার মজে গেলাম। অতঃপর প্লেনে বসা, সিটবেল্ট বাঁধা, এবং আবার পড়া শুরু। গন্তব্যে
পৌঁছে, বেল্ট থেকে ব্যাগেজ নেওয়ার সময়টা রীতিমতো অস্থির হয়ে থেকে, অবশেষে
ট্যাক্সিতে বসেই আবার বইটা হাতে নেওয়া, এবং স্রেফ তলিয়ে যাওয়া গল্পের মধ্যে।
যতক্ষণ
না শেষ হচ্ছে এই উপন্যাস।
অথচ,
খুনি থেকে শুরু করে খুনের কারণ, সব আমাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন লেখক বই শুরুর মাত্র
কয়েক অধ্যায়ের মধ্যেই!
তাহলে
আমি বইটা শেষ না হওয়া অবধি ছাড়তে পারছিলাম না কেন?
উত্তরটা
লুকিয়ে আছে এই বইয়ের মূল প্রতিপাদ্যে, অর্থাৎ এক অবহেলিত এবং বিস্মৃতপ্রায়
তত্ত্বে, যা অনুযায়ী বলতে এবং মানতে হয় যে আমাদের সত্যিকারের ইতিহাস লুকিয়ে আছে
আমাদের এই বাংলা ভাষায়।
নাগরিকতা
ও পলিটিক্যাল কারেক্টনেস-এর যৌথ সম্মার্জনীর আঘাতে ঝেঁটিয়ে সাফ হওয়া ভাষায় নয়, বরং
সেই ভাষায়, যাতে রচিত হয়েছিল কৃত্তিবাস ওঝা-র রামায়ণ, কাশীরাম দাশ-এর মহাভারত, যা
আজও বহুলাংশে মহিলা, অন্ত্যজ ও অন্যান্য অন্তবাসীর মুখে জীবিত আছে।
প্রথমে
নিহত বিল্বদল চট্টোপাধ্যায়-এর কথায়, পরে ডিকে-র পড়া কিছু লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত
প্রবন্ধে, সর্বোপরি অন্যান্য চরিত্রদের সঙ্গে ভাষা ও পুরাণ নিয়ে গবেষণায় ডুবে থাকা
সাধক কবীর খানের আলোচনার সূত্রে এই ভাষা থেকে ভারতের, এমনকি গোটা পৃথিবীর তথা
মানবজাতির যে ইতিহাস একান্ত বিশ্বাসযোগ্যভাবে ফুটে উঠেছে তা যুক্তিগ্রাহ্য হয়েও
অবিশ্বাস্য। কেন তা অবিশ্বাস্য, বা কেন তা যুক্তিগ্রাহ্য, এগুলো লিখতে গেলে লেখাটা
স্পয়লারে ভর্তি হয়ে যাবে বলে সেদিকে যাচ্ছিনা। শুধু এটুকু লিখছি যে কাহিনির শুরুতে
যখন ভাষার শেকড় ধরে টান দিয়ে তুলে আনা কবীর খানের থিওরিগুলোর মুখোমুখি হচ্ছিলাম,
তখন মনে হচ্ছিল, “সূর্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে” টাইপের আরো একটা গাঁজাখুরি থিওরি
প্রমাণে প্রাণপাত করা এক মানুষের করুণ অথচ হাস্যকর কথা শুনছি।
কারণ
আমার দু’চোখের পেছনে ডান্ডা হাতে দাঁড়িয়ে ছিল আমার পড়া ইতিহাস, আমার শেখা বিশ্বাস,
আমার ভাবা রাজনীতি, যারা নতুন চোখে আমার নিজের ভাষাকে পড়তে দিচ্ছিলনা।
কিন্তু
তারপর, দেবতোষ তাঁর ধারালো কলমের সাহায্যে আমার মাথায় একটা লোবোটমি করে দিলেন। আর
সঙ্গে-সঙ্গে শ্বাসরোধী অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরের জানলা ভেঙে ঢোকা সূর্যের আলোর মতো করে
আমার অনুভবকে প্লাবিত করল এক নতুন জ্ঞান, এক নতুন বোধ।
আমার
দুই ভ্রূর মাঝে একটা নতুন চোখ খুলে গেল!
আমি
দেখতে পেলাম, স্কুলে-পড়ানো ইতিহাসের মর্মরবেদির তলায় লুকোনো এক ভয়ঙ্কর অন্যায় আর
অপমানের জ্বলন্ত সত্যিকে, যাকে খবরের কাগজে বা টিভির পর্দায় কখনও-সখনো দেখলেও
চোখজোড়া অন্যদিকে পিছলে নেওয়াতেই এতদিন অভ্যস্ত ছিলাম।
আমি
শুনতে পেলাম কালের যাত্রার ধ্বনি, যেখানে আঁধারের চক্রে পিষ্ট তারার বুকফাটা
কান্না হারিয়ে গেছিল বিজয়ীর আরোপিত নারকীয় বিভাজনে।
নিছক
রহস্য উপন্যাস নয়।
নয়
কোনো হু বা হাউ বা হোয়াই ডান-ইট।
নয়
কোনো রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা, বা ফেসবুক গরম করা ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষ (তিলে-সেকু-মাকু)
বনাম মৌলবাদী (চাড্ডি) চাপান-উতোড়।
এই
উপন্যাস আমাদের বাঙালি হিসেবে ভাষাগত উত্তরাধিকার নিয়ে গর্বিত হওয়ার পাশাপাশি ভবে
হওয়া নশ্বর মানবজনমকে সার্থক করে তোলার নতুন পথের সন্ধান দেয়।
এই
উপন্যাস অজস্র আরোপিত এবং বহুপ্রচারে সত্য বা পোস্ট-ট্রুথ হয়ে ওঠা নির্জলা
মিথ্যাকে চিনে নিতে সাহায্য করে।
সর্বোপরি,
“ফুল খেলিবার দিন নয় অদ্য” বলেও এই উপন্যাস আমাদের বলে, এখনও মানুষের মধ্যে আছে
স্বাভিমান প্রতিষ্ঠার মনোবল, আছে সততা, আছে জ্ঞানপিপাসা, আছে বিশ্বাসের অন্ধত্ব
ঘোচানোর ইচ্ছে, এবং আছে দুর্জয় সাহস।
এই
উপন্যাস শুধুমাত্র জঁর ফিকশনের ক্ষেত্রে নয়, বরং বাংলা ভাষা ও শব্দতত্ত্বের
ইতিহাসে একটি দিকচিহ্ন হয়ে থাকবে তার এই ভুবনপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য, যা এই
বইকে খুন-খারাপি-সাসপেন্স-চেজ ইত্যাদির দ্বারা সীমাবদ্ধ মর্ত্যের দ্রুতগতি নদীর
চেহারা থেকে তুলে অন্য পরিচয় দিয়েছে। অলকানন্দা নয়, এই উপন্যাস গবেষক কলিম খান ও
রবি চক্রবর্তীর অক্লান্ত সাধনার ফসলের ওপর দাঁড়িয়ে আমার কাছে আকাশগঙ্গাই হয়ে আছে।
তাহলে
দ্বিধা কেন, হে পাঠক?
হাতে
তুলে নিন দুই দধীচীপ্রতিম গবেষকের অস্থি দিয়ে নির্মিত এই বজ্রসম থ্রিলারকে, যা
আপনাকে বৃত্তীয় ভাবনার অচলায়তন ভেঙে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
আর
বুঝিয়ে দেবে, আমাদের সত্যিকারের ইতিহাসের বিন্দুবিসর্গও আমরা এতদিন জানতাম না!
পাঠ
শুভ হোক।