এবার পুজোর মাসখানেক আগে
থেকেই বাজারে একটা পত্রিকার পূজাবার্ষিকী নিয়ে ঝড় উঠল।
চৈত্র-বৈশাখ মাসে বৃষ্টি
আসার আগে যেমন ঈশান কোণ থেকে হা-রে-রে করে ছুটে আসা একটা হাওয়া ধুলোর পাকে জড়িয়ে
ফেলে আমাদের, আমের বোলগুলো ঝপাঝপ নিচে ফেলে দেয় পেকে ওঠার আগেই, আর চোখে-দাঁতে
কিচকিচে ধুলো নিয়ে অপেক্ষা করায় বৃষ্টির জন্য,...
ঠিক সেইভাবেই পত্রিকাটা
নিয়ে বাজারে ওঠা একটা ঝোড়ো হাওয়া, যাকে মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা (অভীক সরকার এই
জায়গাটা খুঁটিয়ে পড়ছেন, এ আমি দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি) buzz বলে থাকেন, অন্য অনেক কিছু থেকে নজর সরিয়ে আমাদের
বেতাল-বেচাল করে দিচ্ছিল।
পত্রিকাটার নাম
ঘোড়াড্ডিম।
নামটা শুনে কি আপনি চমকে
গেলেন? মাথাটা চুলকেও নিলেন এক ফাঁকে?
তৎসম শব্দের দাপটে মড়মড়
করে ওঠা বঙ্গসংস্কৃতির এই দুর্বল ও উইয়ে খাওয়া মঞ্চে এমন একটা নাম কোত্থেকে এল,
সেটা একটা রহস্য বটে।
কিন্তু যেটা নিয়ে রহস্য
তো দূরের কথা, বিন্দুমাত্র সংশয় ছিল না, সেটা হল এই পত্রিকার সম্ভাব্য গুণমান,
কারণ বইটির প্রকাশক জুটি অভিষেক আইচ ও অরিজিৎ ভদ্র-র সততা, পেশাদারিত্ব, এবং
পরিশ্রম করার ক্ষমতা নিয়ে আমার যৎসামান্য হলেও ধারণা ছিল।
তারপর বিদ্যুৎ চমকানোর
মতো করে আমাদের সামনে আসতে শুরু করল একের পর এক লেখকের নাম। স্তম্ভিত বিস্ময়ে, এবং
অনেক দিন পর রীতিমতো টেনশন নিয়ে আমি অপেক্ষা করতে থাকলাম বইটার জন্য।
তারপর একটা কান-ফাটানো
বাজ পড়ল। জানা গেল, এমন অ্যাভেঞ্জার্স অ্যাসেম্বল টাইপ লেখক-সমাবেশ করা পত্রিকার
দাম মাত্র ৯০/- টাকা!!!!
তবদা লেগে গেল আমার।
তারপর একদিন জানতে
পারলাম, তিনি এসেছেন। মানে ঘোড়াড্ডিম ফুটে পত্রিকাটি বেরিয়েছে। অতঃপর অফিস-ফেরতা
‘সুদীপ্তার সম্ভার’-এ পৌঁছনো, প্রচুর গল্পগুজবান্তে কফি পান, এবং পত্রিকাটি সংগ্রহ
করা।
ফেসবুকে কথাটা জানানো
মাত্র সেদিনই লোকজন বলেছিল, “রিভিউ দিও”।
সপ্তাহ তিনেক কেটে গেল।
ঘোড়াড্ডিম আউট-অফ-স্টক এবং আউট-অফ-প্রিন্ট হয়ে গেল। এমনকি পুজোও এসে গেল। আমি রাতে
দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম, লোকে আমার মাথার কাছে দাঁড়িয়ে দুলে-দুলে বলছে,
“চৌত্রিশ + ছয় বছর কেটে গেল, কেউ কথা রাখেনি”!
তারপর এল নবমী। সাক্ষাৎ
মা দুর্গার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শ্রীমতী সকন্যা চলে গেলেন পিত্রালয়ে। বাড়ি ফাঁকা হয়ে
গেল।
আমি নিজের চারপাশে বই আর
পুজোবার্ষিকীর একটা শিবালিক রেঞ্জ তৈরি করে বডি ফেললাম। সেই প্রবল তপস্যায়
ধাপে-ধাপে শেষ হয়ে গেল ঘোড়াড্ডিম।
হে বিজয়া-পরবর্তী
হ্যাং-ওভারে কাতর পাঠক, আজ কি শাম (ইয়ে মানে রিভিউ), আপকে নাম।
‘ঘোড়াড্ডিম’
পূজাবার্ষিকী ১৪২৪-এর সঙ্গে মারগো সাবানের তুলনা করা যেতে পারে। মারগো সাবান হল
“দেখতে খারাপ, মাখতে ভালো”। এই পত্রিকাটিতেও কিছু ব্যাপার বেশ খারাপ, আর সেগুলো
আগে বলে দিই: -
(ক) মলাট দেখতে বেশ রঙিন ও চকচকে হলেও তৌসিফ হক
সেটিকে এমন জবরজং ও কিম্ভূতকিমাকার করে বানিয়েছেন যে আমার মেয়ে দেখেই মুখ বেঁকাল।
একটি শিশু-কিশোর বার্ষিকীর টার্গেট অডিয়েন্স বড়ো-বড়ো শিল্পবোদ্ধা নন, বরং ছোটোরা।
তাই তাদের মনে ও চোখে লাগার মতো প্রচ্ছদ না থাকাটা বেশ ধাক্কাই দিল।
(খ) বইয়ের ভেতরের অলঙ্করণে কোনো ধারাবাহিকতা নেই।
কিছু ছবি দেখলে স্পষ্টতই মনে হয় যে কিশোর পাঠকদের কথা মাথায় রাখা হয়েছে, আবার লাইন
ড্রইংগুলো দেখলে মনে হয় শিল্পীর কোনো ধারণা ছিল না, তিনি কোন লেখার ভিত্তিতে কাদের
জন্য আঁকছেন।
(গ) বইয়ের দাম কম রাখার জন্য কাগজ হিসেবে
নিউসপ্রিন্ট দেওয়াটা সিরিয়াসলি চাপের। এমনিতে দ্য কাফে টেবল যেসব বই আমাদের উপহার
দেয় সেগুলো মুদ্রণসৌকর্যে, এবং দামে, বেশ উঁচু লেভেলের। সেই জিনিস এখানে করা সম্ভব
ছিল না, একথা মানছি। কিন্তু তাই বলে নিউজপ্রিন্ট?! এর ফলে কী হয়েছে সেটাই লিখি।
এবার আকাশের ডায়াবেটিস নয়, প্রস্টেট গ্ল্যান্ডে
কিছু সমস্যা হয়েছে, তাই ভাসিয়েই যাচ্ছে (আমার নয়, জনৈক মহাজন-উবাচ)। তেমনই এক রাউন্ড চলাকালীন এক
পশলা বৃষ্টি জানলা দিয়ে ঢুকে বিছানা-বালিশের মতো ঘোড়াড্ডিম-কেও ভেজালো। মলাট আর
কাগজ সেই যে কুঁচকিয়ে ফুলেছে, এখনও সোজা হচ্ছে না। আজকের ছোটোদের হাতে এই জিনিস
তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা কি ঠিক?
(ঘ) সম্পাদক শুভদীপ ঘোষ এবং অরুণাংশু চ্যাটার্জী সম্পাদকীয়-র মাধ্যমে এই পত্রিকার মিশন, ভিশন, ইত্যাদি নিয়ে কিচ্ছু না বলে
অসংলগ্ন বাংলায় যে ঠিক কী বলতে চেয়েছেন, সেটাই বুঝলাম না।
(ঙ) লেখায় টাইপো প্রচুর। অনেক লেখায়, ‘ওনার’ বা
‘ওঁনার’-এর মতো অশুদ্ধ চলতি অভিব্যক্তি সংশোধন করে তার বদলে ‘ওঁর’ লেখার, বা
বানানগত সমতা রক্ষার্থে যে ন্যূনতম সম্পাদকীয় হস্তক্ষেপের প্রয়োজন ছিল, তার কিছুই
পাওয়া যায়নি লেখাগুলোয়।
Zআউক গিয়া। খাওয়ার আসল স্বাদ যেমন রসনায়,
তেমনই পূজাবার্ষিকীর আসল মজা তার লেখায়। সেই প্রসঙ্গেই আসা যাক।
১. সমুদ্র বসু-র নিবন্ধ “বিশ্ববিখ্যাত ঘোড়াদের গল্প”: পত্রিকার
নামের সঙ্গে সাযুজ্য রক্ষাকারী এই লেখাটা তথ্যপূর্ণ ও সুপাঠ্য। তবে রঙিন ও চকচকে
পাতায় এই লেখাটা ছাপা হলে ছোটোদের কাছে এফেক্টটা আরো জোরদার হত।
২. সৌরভ মুখোপাধ্যায়-এর দীর্ঘ উপন্যাস “রূপকথার জন্মদিন”: এই সময়ের অন্যতম
শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকের কাছ থেকে ছোটোদের জন্য লেখা বলতে আমরা শেষ পেয়েছি ২০১৬-র
শারদীয়া ‘চিরসবুজ লেখা’-য় প্রকাশিত গল্প “শালিখের মা”, এবং ‘মায়াকানন’ বার্ষিকী-তে
প্রকাশিত গল্প “ঋণ”। তারপর পুরো একটি বছর কেটে গেছে! আর উপন্যাসের কথা ধরলে
পরিস্থিতি আরো গুরুতর, কারণ ২০১৪-র পূজাবার্ষিকী ‘আনন্দমেলা’-য় প্রকাশিত
“ভেলকুনমামা ও মিথ্যান্বেষী”-র পর লেখক আমাদের আর কিছু দেননি। তাই, এই দীর্ঘ
(দীর্ঘ, সম্পূর্ণ, বড়ো, এমন বেশ কিছু স্টিকার এবার পুজোয় উপন্যাস নামধারী লেখাদের
গায়ে আটকানো হয়েছে বটে, তবে সেগুলো সব গিমিক মাত্র) উপন্যাসটি নিয়ে অন্য অজস্র
পাঠকের মতো আমারও প্রচুর কৌতূহল ছিল। লেখাটা পড়তে গিয়ে দুটো অদ্ভুত ঘটনা ঘটল।
প্রথমত, এক-দু’লাইন পড়ার পরেই আমি লেখাটার মধ্যে একদম তলিয়ে
গেলাম। ব্যাপারটা যে এই পোস্ট-মডার্ন, পাশে রাখা মোবাইলে ক্রমাগত ফেসবুক আর হোয়াটস
অ্যাপ-এর নোটিফিকেশন আসতে থাকা সময়ে কী অসম্ভব রকম কঠিন কাজ, তা নিশ্চই আন্দাজ
করতে পারছেন। আর সেই কঠিন কাজটাও যদি এমন এক কাহিনির মাধ্যমে করা হয়, যার উপজীব্য
রহস্য-রোমাঞ্চ-ভূত-এবং নানাবিধ খুনখারাপি নয়, বরং এক দিদিমনি, আর তাঁর ক্লাসের
গরিব, শীতে কাঁপা, খেতে না পাওয়া, অথচ হৃদয়ের সম্পদে কুবেরতুল্য মেয়েদের কথোপকথন,
তাহলে লেখকের কলমকুশলতার কিছুটা আন্দাজ হয়তো পাওয়া যায়, তাই না?
দ্বিতীয়ত, লেখাটার গায়ে একটা অন্যরকম গন্ধ লেগে আছে। রূঢ়ভাবে বললে
সেটাকে ন্যাপথালিন, আর ভালোভাবে বললে সেটাকে ঠাকুমার ঘরের ধুনো-ওষুধ-কাশীদাশী
মহাভারত-ফুল-চরণামৃত মেশানো গন্ধের সঙ্গে তুলনা করা যায়। কিন্তু এটা কঠোর বাস্তব
যে এই লেখা এখনকার নয়। না, আমি কোনো ভাবেই, কোনো মতেই বলছি না যে এই লেখা খারাপ!
শুধু বলছি যে লেখাটা টাইম ওয়ার্পের মধ্য দিয়ে এসে পড়েছে এই না-ইয়েতির পদভারাতুর
কলকাতায়, অথচ এর সঠিক স্লট ছিল আশির দশকে দেব সাহিত্য কুটির থেকে প্রকাশিত বাঁধাই
করা হার্ডকভার পূজাবার্ষিকীর ‘মানবিক মূল্যবোধের গল্প’ সেকশন, যেখানে এক সময় আমরা
পড়েছি মানুষ গড়ার স্বপ্ন আর কথা নিয়ে বহু স্বর্ণিম উপাখ্যান।
কিন্তু উপন্যাসটা আদতে কেমন?
আপনি যদি আমারই মতো “মেঘ-ছেঁড়া রোদ” (আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী,
২০১৩)-এর এক দিওয়ানা পাঠক হন, তাহলে এই লেখা আপনার ভালো লাগবে। ভালো লাগবে এই
গল্পের ভীষণ সহজ, সরলরৈখিক কাঠামোটা। ভালো লাগবে এর কেন্দ্রীয় চরিত্রদের। ভালো
লাগবে স্বপ্ন তথা ইচ্ছাপূরণের এই আখ্যান। ভালো লাগবে সংগ্রামের আগুনে তপ্ত, চোখের
জলে শীতল, আর প্রতিভার ধারে তীক্ষ্ণ এক ইস্পাতের তরোয়াল চোখের সামনে গড়ে ওঠার
দৃশ্যাবলি।
আর যদি এসব আপনার না পোষায়, তাহলে লেখাটা স্রেফ টপকে যাবেন প্লিজ।
৩. অভীক সরকার-এর রম্যরচনা “প্রিন্সেস ও ট্র্যাডিশনাল ডে”: অভীক সরকার ফেসবুকে
যা লেখেন তার মধ্যে রম্যরচনা, দাঁত-কিড়মিড় টাইপ লেখা, তথ্যনিষ্ঠ নিবন্ধ, এসবই পড়ে।
যদি আপনি এখনও এসব না পড়ে থাকেন তাহলে, হে পাঠক, আপনি জানেন না আপনি কী হারাচ্ছেন।
সত্বর সেই ত্রুটি সংশোধন করুন। শিশু-কিশোর পত্রিকায় তাঁর এই লেখাটি সেই কমলহিরে
টাইপের দ্যূতি বিচ্ছুরণ করতে পারেনি, কারণ অভীকের ট্রেডমার্ক উইটের অনেক কিছুই
প্রাপ্তবয়স্ক। ফলে ব্লাডি মেরি-র বদলে রুহ-আফজা খাওয়ার এফেক্ট এসেছে লেখাটায়। তবে তাই বা কম কী?
৪. দেবতোষ দাশ-এর গল্প “আলোটা কোথায় গেল”: ফেবল বা উপকথার স্টাইলে বলা এই গল্পটা ভালো, তবে
কিছুটা অন্যায় ভাবেই হয়তো বেশ কিছুদিন আগে ‘চিরসবুজ লেখা’-য় প্রকাশিত সৈকত
মুখোপাধ্যায়-এর একটা অদ্বিতীয় গল্প, “শূন্য হাতের শিল্পী”-র সঙ্গে তুলনা হবে এই
গল্পটার। না, দুটোর মধ্যে কোনো মিল নেই। আবার হয়তো আছেও। পড়ে দেখুন।
৫. সৌরভ চক্রবর্তী-র গল্প “ক্লাউন-আতঙ্ক”: ‘ভূতের গল্প’ অধ্যুষিত এই বাজারে সত্যিকারের
মনস্তত্ত্ব-আধারিত গল্প কম লেখা হয় বলাটাও একটা আন্ডার-স্টেটমেন্ট। আলোচ্য গল্পের
লেখক সৌরভ চক্রবর্তী-র বিশেষত্ব হল, এর আগেও তিনি একাধিক লেখায় ‘বনের বাঘে নয়,
মনের বাঘে খায়’ কথাটা যে যথার্থ, তা তুলে ধরেছেন রোমাঞ্চ ও প্রত্যাশার মেলবন্ধনে।
ধাপে-ধাপে গল্পকে একটা প্রত্যাশিত পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া, এবং একেবারে শেষ
মুহূর্তে তাতে এমন একটা মোচড় আনা যে পাঠক একেবারে হতভম্ব হয়ে যান: এই জিনিস এই মুহূর্তে করে দেখাতে পারেন স্রেফ সৌরভ! তাঁর কাছ থেকে এমন
দুর্দান্ত আরো গল্পের আশায় রইলাম।
৬. বিপুল দাস-এর উপন্যাস “মৃত্যু-আলিঙ্গন”: স্থানাভাবে বা অন্য
কোনো কারণে লেখক তাঁর গল্পটা শেষ না করেই ছেড়ে দিয়েছেন। তাছাড়া deus ex machina স্টাইলে এমন সব জিনিস গল্পটায় আমদানি করা হয়েছে, যেটা যুক্তিতর্কের খাতিরে হজম
করা মুশকিল। কিন্তু, জঙ্গলের পটভূমিতে চোরাশিকারী তথা কাঠপাচারকারীদের সঙ্গে সৎ
বনরক্ষীদের সংঘর্ষের এই দুর্দান্ত রোমাঞ্চকর উপাখ্যান আমার মতো পুরোনো পাঠকদের
কাছে অনেকাংশে ময়ূখ চৌধুরী-র অনবদ্য চিত্রকাহিনি “বনবাসী বন্ধু”-র কথা মনে করিয়ে
দেবে।
৭. সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়-এর গল্প “তিন বর, তিন বর”: এই ক্লান্ত, অসুস্থ
মানুষটিকে দিয়ে এখনও শিশু-কিশোর সাহিত্য রচনা করালে যা হওয়ার, তাই হয়েছে। যেকোনো
স্কুলের দেওয়াল-পত্রিকাতেও এর চেয়ে উৎকৃষ্ট জিনিস রচিত হয়।
৮. সুদেষ্ণা
চক্রবর্তী-র গল্প “হীরুদা আর মুখোশ”: গল্পের নামের বানানে
দীর্ঘ ঈ ব্যবহার নিয়ে আপত্তি থাকলেও গল্পটা যে একদম ফার্স্ট ক্লাস, সেই নিয়ে কোনো
সংশয় নেই। বেশ তারিয়ে-তারিয়ে উপভোগ করার মতো গল্প এটা।
৯. বিবেক কুণ্ডু-র
গল্প “মনকেমন”: বাজে
অলঙ্করণ যে একটা অনবদ্য, এবং গভীর দ্যোতনাময় গল্পের কতটা ক্ষতি করতে পারে, তার কেস
স্টাডি হিসেবে এই গল্পটা নেওয়া যেতে পারে। অনাগত ভবিষ্যতের গল্প নয়, এ আসলে ঘটমান
বর্তমানের এক বুক-কাঁপানো গল্প। যত্ন নিয়ে গল্পটা পড়বেন, প্লিজ।
১০. অরিন্দম
চক্রবর্তী-র হাবিজাবি “তবু মনে রেখো”: ধুর!
না গল্প, না নিবন্ধ, না আলোচনা, এটা একটা রাবিশ জিনিস হয়েছে। সম্পাদক এমন সব
বাঘা-বাঘা লেখার পাশে এই লেখাটাকে রাখলেন কি বন্ধুকৃত্য হিসেবে?
১১. অনুষ্টুপ শেঠ-এর
গল্প এবং কলুদা (কল্যাণ দাস)-র ছবিতে তিতিরপাখি-র কমিক্স “কথাবার্তা”: আহা! পড়ে মন জুড়োল। তবে ছবি মোটেই
ভালো নয়। সায়ন পাল-এর আঁকায় আমরা এর চেয়ে শতগুণে ভালো কমিক্স পেয়ে থাকি।
১২. দেবাশিস আইচ-এর
গল্প “বুড়ি নদীর কোল”: সহজ,
সুন্দর, গল্প। কিছুটা রূপকথা, আর আজকের আমরা-ওরা বিভাজিত গ্রামের পটভূমিতে
একেবারেই অলীক। তবু সুন্দর গল্প।
১৩. রূপক মিশ্র-র গল্প “আশ্চর্য ভ্রমণ”: দারুণ
লেখা। ছোটোদের জগতে কল্পনা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আমরা হয়তো ভুলতে বসেছি
আজকের শিশুদের চারপাশে ইনফোটেইনমেন্ট-এর বন্যা দেখে। কিন্তু সেই কল্পনাপ্রবণতাটা,
যেটা আমাদের ছোটোবেলায় মেঘ দেখে কেশর ফোলানো সিংহ হয়ে আত্মপ্রকাশ করত, ফিরে পেলাম
এই সহজ গল্পে।
১৪. নীলা
বন্দ্যোপাধ্যায়-এর গল্প “লকির গুপ্তধন”: এই রকম একমাত্রিক
দুঃখবাদী ঘ্যানঘ্যানকে গল্পের মর্যাদা দেওয়ার পেছনে কোনো এজেন্ডা থাকতে পারে,
কিন্তু সম্পাদকীয় বিচক্ষণতার কোনো পরিচয় এতে পাওয়া গেল না।
১৫. বিনোদ ঘোষাল-এর
গল্প “মিত্তির মশাই”: এই অদ্ভুত সুন্দর
গল্পটা, যা পড়লে পাঠকের অন্তরমহল একটা ব্যাখ্যাতীত ব্যথায় সজল হয়ে ওঠে,
পূর্ব-প্রকাশিত হলেও উপস্থিতির মাধ্যমে এই পত্রিকাকে সমৃদ্ধ করেছে।
১৬. রেজওয়ান
তানিম-এর গল্প “টুপুরের একদিন”: গল্পটার
বিষয়বস্তু, উপস্থাপন, বর্ণনাভঙ্গি, সবই আজ থেকে বছর ত্রিশেক আগের। আজকের ছোটোদের
কাছে রবীন্দ্রনাথকে প্রভাতফেরি আর এথনিক কম্পিটিশনে গাইবার জিনিসের বাইরে অন্য
কিছু করে তুলতে গেলে এরকম আধো-আধো লেখা চলবে না। তাদের বুদ্ধিকে সম্মান জানিয়েই যে
লিখতে হবে, একথা লেখককে বোঝাতে না পারার জন্য সম্পাদককেই দোষী করতে হচ্ছে।
১৭. অনন্যা দাশ-এর গল্প
“উত্তরাধিকার প্রহেলিকা”: দারুণ লাগল এই রহস্যকাহিনিটি। জিকো-কেকা-সাগর দত্ত সিরিজের
বাইরে এক আনকোরা নতুন গোয়েন্দা ধ্রুবজ্যোতি সেন-কে এই গল্পের মাধ্যমে উপহার
দিয়েছেন লেখক। রহস্যটা হয়তো কিছুটা প্রেডিক্টেবল, কিন্তু সব মিলিয়ে গল্পটা, বিশেষত
তার শেষের ঝটকাটা আমার চমৎকার লেগেছে।
১৮. অমৃতা চৌধুরী-র
ভাষান্তরে জান্নি রোদারি-র “রাজার নাকে হাত বুলোনো”: ধুর! এর চেয়ে শতগুণে ভালো লেখা উপেন্দ্রকিশোর
রায়চৌধুরী-ই লিখে গেছেন। অনুবাদ সাহিত্যের নামে এইসব বেকার জিনিস কেন যে…
১৯. শেখর বসু-র উপন্যাস
“বাঁদর-মানুষ আজও আছে”: গল্পটা ভালো, তবে অকারণে টেনে লম্বা করা হয়েছে। এই
পোস্ট-মডার্ন যুগে গল্পটা বলার জন্য বংপেন আধ পাতা নিয়ে এর চেয়ে বেশি অভিঘাত তৈরি
করতে সক্ষম। তাই এত ফেনানো লেখাটা শেষ অবধি বোর-ই করল।
২০. শ্রেয়সী সেন-এর
স্মৃতিকথা “পুরানো সেই দিনের কথা”: সম্পাদকরা যে ঠিক কী যুক্তিতে এইসব জিনিস …. যাকগে।
২১. ও হেনরি-র গল্পের
অভীক মুখোপাধ্যায়-কৃত ভাবানুবাদ “শেষ পাতাটি”: অনুবাদ কেমন হওয়া উচিৎ, তার একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন এই
গল্পটি। গল্পের গতি শুধু নয়, তার আবেগ ও অনুভূতি কিছুমাত্র বিচ্যূত হতে দেননি
অনুবাদক এই নির্ভার লেখায়। গল্পটা ক্লাসিক, অনুবাদটাও অনবদ্য।
২২. রূপক সাহা-র ময়দানি
গল্প “বার পুজো”: বার্সিলোনা আর ম্যান ইউ-এর এই ভরা বাজারেও যারা লাল-হলুদ বা
সবুজ-মেরুন নিয়ে মাতেন, তাদের (আজ্ঞে হ্যাঁ, আমিও ওই দলেই আছি) পক্ষে একেবারে
যথাযথ এই সরস গল্পটি।
২৩. দিব্যশঙ্খ রায়-এর
গল্প “কলি”:
গল্পটা বড়ো ভালো, কিন্তু লেখক এখনও গল্পের ভাষা রপ্ত করতে পারেননি, তাই কী হচ্ছে
সেটা বুঝতে জান বেরিয়ে যায়!
২৪. দীপিকা মজুমদার-এর
গল্প “লোডশেডিংয়ের রাতে”: নাম আর অলঙ্করণেই গল্পটার সব বলে দেওয়া হয়েছে, নইলে আবহটা
বেশ জমানো হয়েছিল। লেখক কি, বেশ একটু জায়গা নিয়ে, একটা লোম-খাড়া-করে-দেওয়া ভূতের
গল্প দেবেন ভবিষ্যতে?
২৫. সুদেব ভট্টাচার্য-র
গল্প “স্টিভেন সাহেবের দিনলিপি”: ১৯৭২-এর উরুগুয়ান এয়ার ফোর্স ফ্লাইট ৫৭১ আন্দিজ-এর বরফে ঢাকা
প্রান্তরে ক্র্যাশ করার পরে রবার্টো ক্যানেসার অবস্থা নিয়ে, সঙ্গে কিছু অতিলৌকিক
উপাদান মিশিয়ে লেখা হয়েছে এই টানটান গল্পটা। ভালো লাগল।
২৬. সুজন
দাশগুপ্ত-র গল্প কাম স্মৃতিকথা “প্রতিশোধ!”: সচরাচর সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধেয় সুজন দাশগুপ্ত তাঁর
মনের মণিকোঠা থেকে আমাদের যে অসামান্য ভিনিয়েটগুলো উপহার দেন, সেগুলো
প্রাপ্তবয়স্ক-ঘেঁসা বলেই বোধহয় এখানে তিনি একটা শিশুপাঠ্য জিনিস পেশ করার চেষ্টা
করেছেন। লেখাটা কেমন যেন পাংচার হওয়া চাকার মতো গড়িয়েছে।
২৭. সন্দীপন
গঙ্গোপাধ্যায়-এর গল্পচ্ছলে ইতিহাস “গাছদাদু”: বটগাছের মতো বাঙালির জ্ঞানচর্চার
ঐতিহ্যকে জুড়ে থাকা এক মানুষকে শিশুর চোখে দেখার পাশাপাশি অদ্ভুত এক মায়ায় মনটা
ভরে যায় এই গল্পটা পড়লে। শাবাশ সন্দীপন।
২৮. শ্যামসুন্দর
গোস্বামী-র গল্প “হারিয়ে গেল দাদাই”: খুব বড়ো বিষয় নিয়ে খুব সহজ ভাবে লেখা একটা চমৎকার গল্প এটি। লেখকের আরো লেখা
পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
২৯. “হাসিনা নানি
ও এক নেকড়ে”:
আপাতভাবে এটা নাকি সুনির্মল চক্রবর্তীর দ্বারা অনূদিত সংযুক্ত আরব আমিরশাহি-র একটি
লোককথা। মুশকিল হল, গল্পটা একেবারে লাইন-বাই-লাইন ‘লিটল রেড রাইডিং হুড’ থেকে ‘অনুপ্রাণিত’
বা ডিকন্সট্রাক্টেড (সৌজন্যে হর্ষ দত্ত)। আর একথা যদি কেউ বলেন যে মূল গল্পটা সহি
জায়গা, থুড়ি আরবেই উদ্ভূত, তাহলে তাকে কষে গালাগাল দেওয়া ছাড়া উপায় দেখছি না, কারণ
২০১৩ সালে জামশিদ জে তেহরানি ‘দ্য ফাইলোজেনি অফ লিটল রেড রাইডিং হুড’ প্রবন্ধে
ম্যাথামেটিকাল মডেলের সাহায্যে উক্ত গল্পটির প্রায় ৫৮ রকম রূপ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ
করেন যে মূল কাহিনিটির উৎপত্তি খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে, ইউরোপে। এসব বিষয়ে কোনো
খোঁজখবর না নিয়ে আলোচ্য অনুবাদটি পূজাবার্ষিকীতে শামিল করাটা সম্পাদকীয় আলসেমি, না
সেকুলার হওয়ার প্রয়াস, তা বিজ্ঞজনেরাই বলতে পারবেন।
৩০. ডাঃ পল্লব বসু-র
গল্প “মৃত্যুর ওপিঠে”: চমৎকার একটি রহস্য গল্প উপহার দিয়েছেন লেখক আমাদের। এই গল্পটার সবচেয়ে বড়ো
বিশেষত্ব হল, এতে রহস্যভেদী আর পাঠক একই ক্লু নিয়ে এগিয়েছেন, ফলে ক্লাসিক ‘গোল্ডেন
এজ মিস্ট্রি’-র মতো এখানেও পাঠকের সামনে সুযোগ থাকে অপরাধীকে মোডাস অপারেন্ডাই-সহ
পাকড়াও করার। এমন গল্প আরো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
৩১. সাগরিকা রায়-এর
গল্প “হারিয়ে যাওয়ার পথ”: ছোটোদের গল্প নয়, বরং বড়োদের সব জটিলতা থেকে পালিয়ে যেতে চাওয়ার অবদমিত
বাসনার এক শ্বাসরোধী গল্প এটি।
৩২. দ্যুতিমান
ভট্টাচার্য-র গল্পগাথা “সোঁদরবনের কেঁদো বাঘ”: আমি সচরাচর ছড়া বা কবিতা পড়ি না, কিন্তু এই আশ্চর্য
সহজ ও সুন্দর পদ্য-গল্প পড়তে ভারি ভালো লাগল।
৩৩. দেবাঞ্জন দেব-এর
ভ্রমণকাহিনি “নারিকেল জিঞ্জিরার পথে”: নারিকেল জিঞ্জিরা আপামর বাঙালির কাছে শুধু ট্যুরিস্ট স্পট
নয়, ছোটোখাটো তীর্থস্থানও বটে, কারণ হুমায়ূন আহমেদের বাড়ি এখানেই ছিল। সেখানে
যাওয়ার অভিজ্ঞতা পড়তে বেশ লাগল।
৩৪. অরিন্দম
মুখোপাধ্যায়-এর গল্প “দুয়ার খোলার পরে”: রূপকথার গল্প? না কি সত্যি? অনেকেই বলেন যে এমন খেলা
নাকি ধুলোমাটির পৃথিবীর কারো পক্ষে খেলা সম্ভব নয়। তাই হবে। তবে সেই রূপকথা থেকে
উঠে আসা খেলোয়াড়ের গল্পটা পড়তে চমৎকার লাগল।
৩৫. ইমন জুবায়ের-এর
ভাষান্তরে রাশিয়ান রূপকথা “মাশা ও ভালুক”: বেশ ভালো লাগল এই ঝরঝরে অনুবাদটা।
৩৬. শিশির বিশ্বাস-এর
গল্প “হাবুলের দিলখুশ ম্যাজিক”: চমৎকার লাগল এই সহজ ও সুন্দর গল্পটা। আজকের ছোটোরা কিন্তু
এমন সহজ গল্পই পছন্দ করে।
৩৭. অভিষেক মুখার্জী-র “কে?”: বাংলায়, বিশেষত শিশু-কিশোর সাহিত্যে ওপন-এন্ডেড
গল্পের বড়ো অভাব। তার ওপর সে গল্প যদি হয় genius
loci নিয়ে, তাহলে তা তো লুপ্তপ্রায়। এই গল্পটা সেই অতি-অতি বিরল
জিনিস। তবে লেখক হয়তো শব্দসংখ্যার ঠেলায় গল্পটা বড়ো দুম করে থামিয়ে দিয়েছেন। আমি
তাকে অনুরোধ করব, পরে আর একটু হাত খুলে এটা নিয়ে লেখার।
৩৮. অরুণাভ
গঙ্গোপাধ্যায়-এর গল্প “পিছুটান”: বিপুল সম্ভাবনা নিয়েও গল্পটা নষ্ট হয়ে গেল স্রেফ লেখকের দুর্বলতায়। এশারের
ড্রইং-ই বলুন বা মোবিয়াস স্ট্রিপ, সেই থিম নিয়ে লিখতে গেলে গদ্যভাষার ওপর আরেকটু
নিয়ন্ত্রণ আশা করেছিলাম।
৩৯. দেবাঞ্জন
মুখার্জি-র গল্প “রাজার সঙ্গে একদিন”: প্রেডিক্টেবল গল্পও যে লেখার মুনশিয়ানায় সুখপাঠ্য হয়ে ওঠে, তার চমৎকার
নিদর্শন এই সহজ, সোজাসাপটা গল্পটা।
৪০. কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়-এর
গল্প “হুমকি”: সত্যজিৎ রায়-এর ‘বিপিন চৌধুরীর স্মৃতিভ্রম’ সামান্য মনে থাকলেও যে কোনো পাঠক
বুঝে ফেলবেন, কী ঘটছে এই গল্পে।
৪১. রামকৃষ্ণ
ভট্টাচার্য সান্যাল-এর নিবন্ধ “সমুদ্রযাত্রা ও টাইটানিক”: একশো বছরেরও বেশি আগে উত্তর আটলান্টিকের কনকনে
ঠাণ্ডা জলে ডুবে যাওয়া ওই অতিকায় জাহাজটি নিয়ে আমাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন
ঘনাদা এই সুখপাঠ লেখাটিতে।
৪২. সাম্য দত্ত-র
বিজ্ঞান-বিষয়ক লেখা “আলো-আঁধারির খেলা”: বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি উপেক্ষিত, এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী
প্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বারা ছলে-বলে-কৌশলে পরাভূত চরিত্রের সম্বন্ধে খুব অল্প হলেও
কিছু কথা এই ঝরঝরে লেখাটিতে তুলে ধরার জন্য লেখকের উদ্দেশে আন্তরিক ধন্যবাদ দিই।
সব মিলিয়ে, ২১২ পাতার এই
পূজাবার্ষিকী পড়ে আমার দুটো মাত্র কথা বলার আছে:
(১) এই পত্রিকা প্রকাশ কোনো মতেই বন্ধ করবেন না। এতে এমন অনেক নতুন লেখকের টাটকা-তাজা লেখা আছে, যা সচরাচর শারদীয়া পত্রিকায় পড়ার সুযোগ পাওয়া যায় না। অথচ এই নতুন লেখকদের সুযোগ না দিলে তাঁরা ইন্ডাস্ট্রির ফুরিয়ে যাওয়া কলমগুলোর জায়গা নেওয়ার অবস্থাতেই পৌঁছবেন না।
(১) এই পত্রিকা প্রকাশ কোনো মতেই বন্ধ করবেন না। এতে এমন অনেক নতুন লেখকের টাটকা-তাজা লেখা আছে, যা সচরাচর শারদীয়া পত্রিকায় পড়ার সুযোগ পাওয়া যায় না। অথচ এই নতুন লেখকদের সুযোগ না দিলে তাঁরা ইন্ডাস্ট্রির ফুরিয়ে যাওয়া কলমগুলোর জায়গা নেওয়ার অবস্থাতেই পৌঁছবেন না।
(২) ৫০০ কপি বই হুশ করে
বিক্রি হয়ে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই বইয়ের অপেক্ষাকৃত কম দাম-কে দায়ী করে লাভ
নেই। আমি বইটা পড়ে দায়িত্বের সঙ্গে বলতে পারি, কন্টেন্টের দিক দিয়েও এই বই অনেক
নামজাদা পায়াভারি পত্রিকার নাক মাটিতে ঘষে দিতে পারে।
তাই, হে পাঠক, জানি না
আপনি এই বইটা আর জোগাড় করে উঠতে পারবেন কি না। কিন্তু যদি পান, তাহলে অনেক আনন্দ,
অনেক চিন্তার খোরাক পাবেন এই বই থেকে, এটা গ্যরান্টিড।
শুভ বিজয়া।
প্রথমেই ধন্যবাদ তোমাকে ব্লগ টা আবার শুরু করলে বলে। সত্যি কথা ভবিষ্যতে ক্যাফে টেবিল কে ভাবতে হবে তার কাগজের মান নিয়ে।
ReplyDeleteরিভিউ খুব সুন্দর
Deleteঅসংখ্য ধন্যবাদ।
Deleteমাশা ও ভালুক আমার আর নিমোর খুব প্রিয়। ঘোড়াড্ডিম বেঁচে থাকুক।
ReplyDeleteCtrl C Ctrl V
Delete