আমাদের ছোটবেলায় সবথেকে সম্ভ্রমের চোখে যে শারদীয়া সংখ্যাটাকে দেখা হতো, সেটা
হলো “কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান”| এখনকার ছোটরা এই পত্রিকাটিকে ঠিক কী চোখে দেখে তা আমার
জানা নেই, কারণ, খুবই দুঃখের সঙ্গে হলেও স্বীকার করতেই হচ্ছে যে আমার
চেনা-পরিচিতের মধ্যে আমি একটিও ‘ছোটো’ মানুষকে চিনি না (আমার মেয়ে সহ) যে
পূজাবার্ষিকী পড়ে| তবে এই পত্রিকার এবছরের পূজাবার্ষিকী পড়ে আমার মতামত নিচে পেশ
করলাম:
1. যে পত্রিকার সবথেকে আকর্ষণীয় বিষয় হলো সতজিত রায়-এর “স্বপ্নদ্বীপ”
(সুচিপত্রে তাও আবার ভুল বানানে ছাপা হয়েছে), সিদ্ধার্থ ঘোষ-এর “ঝন্টুমামার ছাঁকনি”
আর সুধীন্দ্র সরকার-এর “প্রফেসর ব্রহ্ম ও কালোচিতা” [দুটিই এই পত্রিকার বছর
ত্রিশেক পুরনো সংস্করণ থেকে নিয়ে আবার ছাপানো], তার অবস্থা নিয়ে নতুন কিছু বলার
নেই|
2. নতুন লেখকদের মধ্যে শান্তনু বসু-র “অনাদি অধিকারীর
একোয়াস্কোপ” আর নবকুমার দাস-এর “বক্সা রহস্য” সম্পাদকীয় স্পর্শ পেলে আরও উপভোগ্য
হতো, এবং এঁদের আরও লেখা পড়ার ইচ্ছে রইলো|
3. রাজেশ বসু-র নানা “গুণ”-এর কথা এর আগে অন্যান্য লেখকদের কাছ
থেকে জেনেছি, তবে যেটা সত্যিই কৌতূহল উদ্রেক করে সেটা হলো: কোন লবির জোরে এই
লোকটির লেখা বাংলার প্রায় সব ক’টি পাবলিশিং হাউস ছেপেই চলে, যেখানে সত্যিকারের
ভালো এবং পাঠক-সমাদৃত লেখা পড়ে থাকে ছাপাখানা আর সম্পাদকের টেবিলের মাঝের ব্ল্যাক হোল-এ?
4. পার্থজিত গঙ্গোপাধ্যায় (ইনিও আর একজন “শক্তিশালী” লেখক,
যাঁর সম্পূর্ণভাবে খড়-ভুষি-তুল্য লেখাও পত্র ভারতী থেকে বই আকারে প্রকাশিত)-কে খুব
ঠান্ডা মাথায় বোঝানো দরকার যে মাধ্যমিকের জন্যে লেখা রচনা ছাপাতে হলে (এই সব
বিদ্বদজনের যা লবি থাকে তাতে এঁদের ধোপার জন্যে বানানো তালিকাও ছাপা হবে) তাকে “বিজ্ঞানভিত্তিক
উপন্যাস” বলে মিথ্যা-ভাষণের কোনো প্রয়োজন নেই| বাংলার অভাগা খোকাখুকুরা রচনা-জ্ঞানেই
ওই লেখা পড়ে ফেলবে|
সামগ্রিকভাবে আমি এই কথাই বলবো যে গত বছরের শারদীয়া সংখ্যাতেও রাবিশ বোঝাই
ছিলো, তবে সৈকত মুখোপাধ্যায়-এর নিপুণ “সোনালি পশম” আর অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী-র “নিয়ম
যখন ভাঙে” পড়ে মুখ থেকে বেরিয়েছিলো: “বাঃ”| এবারের সংখ্যাটি পড়ে যা বেরিয়েছে তা
লেখার কোনো প্রয়োজন নেই| আমি এই পত্রিকাটির শারদীয়া সংখ্যা আর পড়বো না|
আপনার রিভিউ খুব উপভোগ করি আর পড়ার জন্য আজকাল মুখিয়েও থাকি। এটিও চমৎকার লিখেছেন।
ReplyDelete.
আপনার মতো আমিও কিশোর জ্ঞান-বিজ্ঞান ছোটবেলায় খুব পছন্দ করতাম, তবে পড়ায় আমি বরাবরই অলস বলে খাঁদু-দাদুটা অন্তত চেটেপুটে খেতাম। কিশোর জ্ঞান-বিজ্ঞান এখন যে মুখে তোলা যয় না সেটা শুনেছিলাম, আপনার বিবরণে ধারণাটা পোক্ত হল। অনেক ধন্যবাদ।
.
তবে আপনার বক্তব্য আর একটু বিস্তারিত হলে আরও ভাল লাগবে। কোনও লেখা ভাল না লাগলে বেশি যদি নাও বলেন, কিন্তু ভাল লাগলে শুধু 'এঁর লেখা আরও পড়ার ইচ্ছে রইল'টুকু হয়তো পাঠক-লেখক কাউকেই পুরো তৃপ্তি দেয় না। আর একটু বেশি জানতে চাই যে দাদা।
.
রিভিউগুলোর জন্য অনেক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন আর কিশোর জ্ঞান-বিজ্ঞানের জন্য সমবেদনা রইল।
আমার ছোটবেলার স্মৃতি জাগিয়ে দিয়েছেন । ধন্যবাদ আপনাকে। এখনো কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যা যত্ন করে রেখে দিয়েছি , মাঝে মাঝে পড়তে এবং গন্ধ শুকতে ভালো লাগে ।
ReplyDeleteআমার ছোটবেলার স্মৃতি জাগিয়ে দিয়েছেন । ধন্যবাদ আপনাকে। এখনো কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যা যত্ন করে রেখে দিয়েছি , মাঝে মাঝে পড়তে এবং গন্ধ শুকতে ভালো লাগে ।
ReplyDeleteপ্রিয় কবি, লেখক, সাহিত্যিক, উপন্যাসিক, কলামিষ্ট, সাংবাদিক, সফল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, খতিব, সফল উদ্যোগতা,
ReplyDeleteআপনাদের সদয় অবগতির জন্য আহ্বান করা হচ্ছে যে “দৈনিক নিউজ সমাহার” পত্রিকায় লেখা পাঠানোর জন্য। ই-মেইল : newssamahar@gmail.com . প্রয়োজনে কল করতে পারেন : 01910112983 ( মামুনূর রশিদ, অফিস স্টাফ )
কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞানে স্বরচিত গল্প পাঠাতে চাই । ই মেল ঠিকানা দিলে বাধিত হই ।
ReplyDelete